
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ সদস্যের তালিকায় দেশের পেশাদার, বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ সাংবাদিক সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর কোনো প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই, ২০২৫) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিক সমাজে যে পরিবর্তনের আশার আলো জেগেছিল, প্রেস কাউন্সিলের এই অপ্রতিনিধিত্বশীল ও পুরনো ধাঁচের গঠন সেই আশায় আঘাত হেনেছে।
ডিআরইউ’র দৃঢ় অবস্থান হলো—
* রিপোর্টাররাই সংবাদমাধ্যমের সম্মুখসারির যোদ্ধা। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, যাচাই ও জনমানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে।
* ডিআরইউ দেশের বৃহত্তম রিপোর্টিং সংগঠন হিসেবে মাঠের সাংবাদিকদের প্রকৃত প্রতিনিধি।
* এই সংগঠনকে উপেক্ষা করা কেবল দুঃখজনক নয়, বরং প্রেস কাউন্সিলের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
স্পষ্ট বক্তব্য:
* প্রেস কাউন্সিল বারবার ‘প্রটেক্টর’-এর পরিবর্তে ‘প্রিডেটর’-এর ভূমিকা পালন করছে।
* ১৯৭৪ সালের পুরনো আইনে কাউন্সিল গঠন আধুনিক সাংবাদিকতার বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন।
* গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী কাঠামোতে প্রকৃত সাংবাদিক প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ পরিপন্থী।
ডিআরইউ’র দাবি:
১. প্রেস কাউন্সিল আইন অবিলম্বে যুগোপযোগীভাবে সংশোধন করতে হবে।
২. ডিআরইউসহ মাঠপর্যায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
৩. কাউন্সিল গঠনে স্বচ্ছতা, বৈচিত্র্য ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
ডিআরইউ মনে করে, সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করে গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদা রক্ষা করা অসম্ভব।