ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সিনিয়র সদস্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ডিআরইউ।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে নামাজে জানাযা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে ইহসানুল করিমের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এসময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা ও মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরীসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে গার্ড অব অনার প্রদান করে পুলিশের একটি চৌকস দল।
গতকাল রোববার ১০ মার্চ রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
ইহসানুল করিম এর মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর হয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২ সালে বাসসের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ইহসানুল করিম। সংবাদ সংস্থাটির বিভিন্ন পদে ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে সংস্থাটির ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন।
এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ভারতের পিটিআই, দ্য স্টেটসম্যান ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশি প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেন তিনি।
বাসস থেকে অবসরের পর ওই বছরের ২০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২১ মে তিনি প্রেস সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন ইহসানুল করিমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইহসানুল করিম এর কুলখানি আগামী ১৫ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে